দিঘার সৈকতে ‘সাইক্লোন সেলফি’র হিড়িক উঠেছে পর্যটকদের! ভিড় সরাতে লাঠিচার্জ পুলিশের – Aaj Akhon

আজ সারাদেশে ধেয়ে আসছে অতি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। তবে দীঘার সমুদ্রে পর্যটকদের কোন বিধি নিষেধ মানানো যাচ্ছে না। তারা কোনো রকমের চোখ রাঙ্গানিতে পাত্তা দিতে রাজি নন।

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৪ অক্টোবর: আজ সারাদেশে ধেয়ে আসছে অতি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। তবে দীঘার সমুদ্রে পর্যটকদের কোন বিধি নিষেধ মানানো যাচ্ছে না। তারা কোনো রকমের চোখ রাঙ্গানিতে পাত্তা দিতে রাজি নন। তারা এখন দিঘা-তাজপুর-মন্দারমনি থেকে পুরী সমুদ্র সৈকতে জড়ো হচ্ছে শুধুমাত্র ঝড়ের দাপট দেখবে বলে। তারা এখন এই প্রবল ঢেউ,জলোচ্ছ্বাসকে পাত্তা না দিয়ে সেলফি তোলার নেশায় পড়েছে সমুদ্র সৈকতে।

সারা বাংলা-উড়িষ্যা এখন ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আতঙ্কে রয়েছে, আজ রাতের মধ্যেই ধামরা বন্দর ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল। এই ঝড়ের প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে বাংলার যেসব উপকূলীয় এলাকা আছে সেইখানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা যথেষ্ট বেশি। ইতিমধ্যে প্রস্তুত প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এই বিপদ এড়াতে। এই ঝড় প্রবলভাবে উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ভিতরকণিকার কাছে ধামরায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়বে। সবথেকে বেশি থাকবে এই জেলায় ঝড়ের গতিবেগ। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।

পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় (দিঘা, শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমনি) এলাকায় বিপদ এড়াতে ২৩-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত হোটেলের বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মনটাই জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসন। সমুদ্র স্নানের করার কোন অনুমতি নেই। মাইকিং করা হচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও হুঁশ ফেরেনি আমজনতার।

সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ট্রেন্ডিং ‘সাইক্লোন টুরিজম’। অর্থাৎ ঝড় দেখতে উপকূল বা ল্যান্ডফল যেখানে হচ্ছে সেখানে ভিড় জমানো। আর এই অ্যাডভেঞ্চারে গা ভাসিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন তাঁরা। প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সকালেও সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। তাঁদের সেলফি তোলার হিড়িকও চোখে পড়ার মতো।তাঁদের সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গিয়েছে।