আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৭ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে যা কথা দিয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতি তিনি দেখেছেন। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলার সমস্ত আবাস যোজনার কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। মঙ্গলবার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এবং ধাপে ধাপে সেই টাকা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে ঠিক করেন। তিনি ঘোষণা করলেন সেই বৈঠকের আগে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তারপর থেকেই আবাস যোজনার আওতায় বাড়ির মালিকরা অর্থ পাবেন।
অর্থদপ্তর সূত্রের খবর, ওই আবাসের টাকা সরকারি পদ্ধতিতে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। ৬০ হাজার টাকা প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে এবং তার পর থেকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এবং শেষ কিস্তিতে ২০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে প্রতি পরিবার পিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পুরো অর্থ দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ১২ লক্ষ পরিবার তথা প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ মাথার উপর পাকা ছাদ পাবেন এই প্রকল্পের সৌজন্যে। সেটাই বারবার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কাজ শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আবাস যোজনার অর্থ প্রদান নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য়ের বিস্তর দ্বন্দ্ব হয়েছে ইতিপূর্বে। রাজ্য়ের তরফে বারবার অভিযোগ উঠেছে, এই যৌথ প্রকল্পের অর্থ ঠিকমতো দিচ্ছে না কেন্দ্র। আবাস যোজনায় স্রেফ প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এ রাজ্যের শাসকদল। তাদের প্রশ্ন, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্পে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নামই কেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রেরও পালটা যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি না হলে তারাও বরাদ্দ অর্থ দেবে না। এনিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাজ্য সরকারে ‘বাংলার বাড়ি’ নামে পৃথক প্রকল্প চালু করে পুরো টাকা নিজেরা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো আজ থেকে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী তিন, চারদিন ধরে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির অর্থ পৌঁছে যাবে।