আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 22 জানুয়ারি: নদীয়ার রানাঘাটের ছোট্ট আস্মিকা দাস, বয়স মাত্র ১ বছর। তাঁর হাসিমাখা মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই, সে মারণ রোগ স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (SMA) টাইপ ১-এ আক্রান্ত। বিরল এই রোগ শিশুটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় থামিয়ে দিয়েছে। এখন তার বাঁচার একমাত্র ভরসা আমেরিকান জিন থেরাপি ইনজেকশন “জোলজেন্সমা,” যার দাম ১৬ কোটি টাকা।
শুভঙ্কর দাস ও লক্ষ্মী দাস, আস্মিকার বাবা-মা, দিন কাটাচ্ছেন গভীর উদ্বেগে। শুভঙ্কর পেশায় বেসরকারি কর্মী, কিন্তু চার মাস ধরে কাজ করতে পারছেন না। তাঁদের জীবনের একমাত্র আশা, মানুষ ও সরকার মিলে তাঁদের ছোট্টো মেয়ের জীবন বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়াবে। ৬ মাস বয়স থেকেই আস্মিকার শারীরিক ক্ষমতা কমতে শুরু করে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্গালোরে, কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, এই রোগের চিকিৎসা ভারতে সম্ভব নয়। আমেরিকায় পাওয়া এই ওষুধের বিপুল খরচ বহন করার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই পরিবারটির।
শুভঙ্কর ও লক্ষ্মী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মানুষ, সংস্থা এবং সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে কাতর আর্জি জানিয়ে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে আস্মিকার চিকিৎসার জন্য আর খুব বেশি সময় হাতে নেই। যদি ১.৫ বছরের আগে এই ইনজেকশন দেওয়া না হয়, তাহলে শিশুটির স্বাভাবিক জীবনযাপনের আশা একেবারে শেষ হয়ে যাবে। মানুষের সহমর্মিতা আর সহযোগিতার উপরই নির্ভর করছে ফুটফুটে আস্মিকার জীবন। সাহায্য করার জন্য দেশের সকল নাগরিককে আবেদন জানিয়েছে তাঁর পরিবার।