আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৭ জানুয়ারি: এবার রাজস্থানের বোরওয়েলে পড়ে গেলেন এক ১৮ বছরের তরুণী। সম্ভবত গতকাল গুজরাটের ৫৪০ ফুট গভীর বোরওয়লে পড়ে যান তিনি। প্রায় 24 ঘন্টা পার হয়ে গেছিল, তবুও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। ওই তরুণী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। ওই গর্তে ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এনডিআরএফ ও বিএসএফের জওয়ানরা ওই তরণীর উদ্ধার কার্য নেমেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুজরাটের কচ্ছ জেলার ভুজ মহকুমার কান্দেরাই গ্রামের একটি ৫৪০ ফুট গভীর বোরওয়েলের ওই তরুণী পড়ে যায়। এবং তার পরিবারের লোকেরা সত্তর থানায় ঘটনাটি জানায়। স্থানীয় উদ্ধারকারীর দল ছুটে আসে।জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (NDRF) এবং বিএসএফরাও ছুটে আসে। তার গতিবিধি জানার জন্য গর্তে ক্যামেরা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। উদ্ধারকারীরা তখনই জানতে পারেন, ওই তরুণী প্রায় ৪৯০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে। কোনও নড়াচড়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। তরুণী আদৌও জীবিত কি না দ্বন্দ্ব রয়েছে। কচ্ছের কালেক্টর অমিত অরোরা বলেন, “রাত থেকে জোর কদমে উদ্ধারকার্য চলছে। আমরা এখনও তরুণীর কাছে পৌঁছতে পারিনি। ক্যামেরায় তরুণীর কোনও নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে না। তবে গর্তে আমরা অক্সিজেন পাঠাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।” কেন তরুণীকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না? কালেক্টর জানিয়েছেন, বোরওয়েলের মুখটি মাত্র ১ ফুট চওড়া তাই বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ওই তরুণীর বাড়ি রাজস্থানে। গুজরাটে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে আসে পরিবার। সঙ্গে আসেন তিনিও। তবে তিনি কীভাবে পড়ে গেলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এদিকে, উদ্ধারকার্যে দেরি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে কেন প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে পারছে না।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে রাজস্থানের ৭০০ ফুট গভীর একটি বোরওয়েল থেকে তিন বছরের চেতনার দেহ উদ্ধার হয়। ১০ দিন আটকে ছিল সে। মধ্যপ্রদেশেও ৩৯ ফুট গভীর বোরওয়েলে পড়ে যায় সুমিত নামে এক বালক। ১৬ ঘণ্টা পর তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।