য়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল অন্তত ৬৯৪ জন। আহত ১,৬০০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমারে ক্ষমতাসীন জুন্টার তরফে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। ভূমিকম্পের পর সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং রাজধানী নেপিডোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত ব্যাঙ্ককও । সেখানেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। শুক্রবার পরপর জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। প্রথম দুটি ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২, ৭। ন্যশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। প্রথমটির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, ১২টা ২ মিনিট নাগাদ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭। দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এরপর ক্রমাগত আফটার শক অনুভূত হয়েছে মায়ানমারে। ভূমিকম্পে মায়ানমারের একাধিক ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এলাকা। গতকাল থেকেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। স্থানীয়দের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডকে সহযোগিতায় ইতিমধ্যে এগিয়ে এসেছে ভারত সহ বহু দেশ।
Myanmar Eearthquake: মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪, আহত ১৬০০, নিখোঁজ বহু
