বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরির অনন্য উদ্যোগ: কলকাতা আইসিসিআর-এ প্রদর্শনী পেল 199-র মাইলফলক

আজ এখন ডেস্ক, 16 ডিসেম্বর: বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টর-এর উদ্যোগে আজ সোমবার কলকাতার আইসিসিআরে অনুষ্ঠিত হল উইন্টার কালার কার্নিভাল (winter colour Carnival)। উক্ত এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা শাখার জেনারেল পোস্ট মাস্টার নীরজ কুমার, আজ এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক সুরমান আলি মন্ডল, বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার চন্দ্রচূড় ভট্টাচার্য এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সুতপা বর্ধন।

কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিসরে বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরি এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি কলকাতার আইসিসিআর হলে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে শিল্প, সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার মেলবন্ধন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই 199টি সফল প্রদর্শনীর গৌরব অর্জন করেছে, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য।

বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরি শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কলকাতার আইসিসিআর হলে আয়োজিত সাম্প্রতিক প্রদর্শনী ছিল এক বিশেষ আয়োজন। এখানে নবীন ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের অনন্য সৃষ্টি স্থান পেয়েছিল। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে শিল্পী, সমালোচক, গবেষক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিল।

শিল্পীদের চিত্রকলায় প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার গ্রামীণ জীবন, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, এবং আধুনিক নগরজীবনের জটিলতা। প্রদর্শনীতে বাস্তববাদী, বিমূর্ত এবং সমসাময়িক চিত্রশিল্পের সমাহার ছিল। প্রতিটি চিত্র শিল্পপ্রেমীদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে।

বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরির উদ্যোগে 199 প্রদর্শনীর সাফল্য শিল্পজগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে সংগঠনের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা এবং স্থানীয় শিল্পীদের সহযোগিতা। প্রদর্শনীর আয়োজন শুধুমাত্র শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শিল্পের প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সংগঠনের কর্ণধার এবং এই উদ্যোগের মূল উদ্যোক্তা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আগামী দিনে প্রদর্শনীকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ প্রত্যেক জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই প্রদর্শনী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছেন তারা। এই উদ্যমী প্রয়াসকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে আজ এখন পত্রিকার কর্ণধার সুরমান আলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তার নেতৃত্বে বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরি আগামী দিনে 200তম প্রদর্শনীর আয়োজন করবে।

এই বিষয়ে মাননীয় সুরমান আলি জানিয়েছেন, “আমাদের উদ্দেশ্য বাংলার প্রতিটি কোণায় শিল্পকে পৌঁছে দেওয়া। প্রদর্শনী শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, গ্রামীণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে দিতে হবে।”আগামী প্রদর্শনীগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক নবীন শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাংলার স্থানীয় ঐতিহ্য ও লোকশিল্পকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে। এছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ভার্চুয়াল প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে তুলে ধরা যায়।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শকরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে বাংলার শিল্পীরা যেমন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনই দর্শকরাও বিভিন্ন ধরণের শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। বেঙ্গল আর্ট ফ্যাক্টরির এই উদ্যোগ বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।

পশ্চিমবঙ্গের জেনারেল পোস্ট মাস্টার নীরজ কুমার, আজ এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক সুরমান আলি মন্ডল, বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার চন্দ্রচূড় ভট্টাচার্য এবং আই সি সিআর ডিরেক্টর রমেশ চাঁদ
পশ্চিমবঙ্গের জেনারেল পোস্ট মাস্টার নীরজ কুমারের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন আজ এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক সুরমান আলি মন্ডল
পশ্চিমবঙ্গের জেনারেল পোস্ট মাস্টার নীরজ কুমারের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিলেন আজ এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক সুরমান আলি মন্ডল