নতুন বছরে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস! HMPV নিয়ে কী বলছে চিন?

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৪ জানুয়ারি: বর্ষবরণের শুরুতেই মানুষের মন আতঙ্কে ভরে গিয়েছে। কারণ করোনার পর এবার সবার জীবন ধ্বংস করতে চলে আসছে এক নতুন ভাইরাস। যার নাম এইচএম টিভি, পুরো নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। প্রথমত চীনে থেকে সূত্রপাত এই ভাইরাসটি। করোনার মতনই ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসটি তার সঙ্গে এর উপসর্গগুলিও এক। বিশ্বজুড়ে এই আতঙ্কের খবর ছড়িয়ে গেছে। তবেই ভাইরাস নিয়ে চীন কি বলছে?

সবেমাত্র চারদিন হলো ২০২৫ সাল শুরু হয়েছে। একটা সপ্তাহ যেতে পারেনি, তার মধ্যে নতুন ভাইরাসের আগমন শুরু হয়ে গেছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালে এই ভাবেই চীন থেকে কোভিড 19 ছড়িয়েছিল সারা দেশে। যার কারনে গোটা দেশকে ভুগতে হয়েছিল। সারা পৃথিবী হয়ে গেছিল লকডাউনের স্তব্ধ। তাই নতুন করে চিনে ভাইরাস আতঙ্ক ছড়াতেই চিন্তায় পড়েছে বাকি দেশও। সবার মনে এখন একটাই ভয়, আবার লকডাউন হবে?এইচএমপিভি কি এবার দ্বিতীয় কর না রূপ নেবে?

এই বিষয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “শীতকালে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বাড়েই। সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলা হচ্ছে, চিনের প্রশাসন নাগরিক ও পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। চিনে ভ্রমণ করা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।”

চীন থেকে যখন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে, এবং যে যেই দেশ গুলি সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল তার মধ্যে ভারতবর্ষ ছিল অন্যতম। তবে এখন ভারত এইচএমপিভি রোগ ছড়িয় পড়ার খবর পেয়ে উদ্বেগ হয়ে পড়েছে। তবে ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের আধিকারিক ডঃ অতুল গোয়েল আপাতত চিনের এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হতেই বলেছেন। তিনি বলেন, “চিনে মেটানিউমোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলছে। একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝুন, আর পাঁচটা রেসপিরেটরি ভাইরাসের মতোই মেটানিউমোভাইরাস। এর উপসর্গ ঠান্ডা লাগার মতোই। শিশু ও প্রবীণদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে এই ধরনের (রেসপিরেটরি আউটব্রেক) তথ্য় খতিয়ে দেখেছি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এমন সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মেলেনি কোথাও।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।