মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যু, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের অভিযোগে উত্তেজনা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 10 জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর একের পর এক প্রসূতির অসুস্থতার ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোরে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশের বড় বাহিনী।

সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সিজার হওয়া পাঁচ প্রসূতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিদেরও আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। শুক্রবার ভোরে মারা যান এক প্রসূতি, মামণি রুইদাস। গড়বেতা থানার বাসিন্দা মামণি বুধবার রাতে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।

মামণির পরিবারের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন ব্যবহারের কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে। হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউত জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে স্যালাইনের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলার জন্য রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রসূতিদের স্বামীরা হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সময় থেকেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। বিকেলের মধ্যেই তাঁদের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে বাকিরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, চিকিৎসার গাফিলতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের অভিযোগ ইতিমধ্যেই হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।