আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 12 জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্যালাইনের বিষক্রিয়ার ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন চার প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে দুইজন ভেন্টিলেশনে থাকায় অবস্থা সঙ্কটজনক, অন্য দুইজন আইসিউতে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছেন চিকিৎসকদের বিশেষ দল। আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য ডায়ালিসিস থেকে বায়োপসি-সহ একাধিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা। মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্যালাইনের বোতলে ছত্রাকের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে। এই গাফিলতির কারণে শুক্রবার সকালে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এদিকে, হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিক্ষোভে সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। শনিবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী ডিওয়াইএফআই এবং বিজেপি যুব মোর্চা। রবিবারও মীনাক্ষী মুখার্জি-সহ বাম নেতৃত্ব হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদে অংশ নেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের ১৩ সদস্যের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল হাসপাতালে উপস্থিত হয়। কীভাবে এমন মারাত্মক গাফিলতি ঘটল এবং কারা এর জন্য দায়ী, তা তদন্ত করে দেখছে দলটি। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আইসিউতে থাকা দুই প্রসূতির অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ঘটনার জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবার উপর মানুষের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের পরে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।