আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 12 জানুয়ারি: ফের একবার পরিষ্কার হলো ঝাড়খণ্ডের দলমা রেঞ্জ থেকে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান পর্যন্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের গতিবিধি। রবিবার সকালে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের বান্দোয়ান ১ বনাঞ্চলে যমুনাগোড়া এলাকায় বাঘের তাজা পায়ের ছাপ দেখতে পান বনকর্মীরা। এই ছাপ থেকে ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি জিনাতের পুরুষসঙ্গী। সূত্রের খবরে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঘটি ঝাড়গ্রামের বাঁশপাহাড়ি রেঞ্জ হয়ে মৈনাকডিতে পৌঁছে ফের বান্দোয়ানের দিকে ফিরে এসেছে।
ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ সূত্রে খবর, বাঘটি দলমার কোর এলাকা থেকে বাফার জোনে এসে পাগদা ও চিমটি এলাকায় কয়েকদিন অবস্থান করেছিল। শুক্রবার রাতে এই বাঘ ১২ কিমি হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পেরিয়ে বান্দোয়ানে প্রবেশ করে। বাঘের অবস্থান নিশ্চিত করতে ১২টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে দলমা রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে।
বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া বনবিভাগের কর্মকর্তারা তৎপর। কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো এবং পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খারসওয়া বনবিভাগে বাঘের উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে। চাণ্ডিল রেঞ্জের তুলগ্রামে গরুর উপর আক্রমণ ও পায়ের ছাপের সূত্র ধরে শুরু হয় খোঁজ। এরপর দলমা পাহাড়, রাঁচি-জামশেদপুর হাইওয়ে, খুঁটি রেঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। এই কয়েকদিনে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘুরেছে বাঘটি।
বনদপ্তর এখন বাঘের খাবারের বিষয়ে চিন্তিত, কারণ এতদিনের অভিযানে তার শিকার ধরা পড়েনি। ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, “ঝাড়খণ্ডের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পদচিহ্ন বান্দোয়ানে পাওয়া গেছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি।” এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বনদপ্তর তাদের আশ্বস্ত করেছে এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বাঘটি বর্তমানে কোথায় রয়েছে তা নিশ্চিত করতে বনকর্মীরা সর্বোচ্চ তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।