আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ জানুয়ারি: এক ছিনতাইবাজকে পুলিশ গুলি করে বন্দী করে। এই কাজ অনেকদিন আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। দুঃসাহসিক সেই কাজ করে আগেই পুলিশের নজরে পড়ে গিয়েছিল। গোয়ালপোখরের কুখ্যাত দুষ্কৃতি সাজ্জাক আলম জেল থেকে পালিয়েও তার নিষ্কৃতি হয়নি। পুলিশ তাকে দেখে এনকাউন্টার করেছে এখন তিনি নিহত অবস্থায় আছেন। তদন্তকারীরা সজ্জাকের সঙ্গী আবদুল হোসেনকে এদিন নাগালে পেয়েছেন। গতকাল গভীর রাতে উত্তর দিনাজপুরে রসখোয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে করণদিঘি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। আবদুল হোসেনের গ্রেপ্তারির খবর নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে আবদুলকে জেরা করে জানত পেরেছে, তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী। ভারতে সে অনুপ্রবেশ করে বেশ কয়েকদিন আগে। যার জন্য আবদুল কারাবাসে ছিল অনেকদিন। ওই জেলখানায় থাকার সময় সাজ্জাকের সঙ্গে আব্দুলের আলাপ হয় এবং ডাকাতি-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছিলেন তারা দুজন মিলে। আর সেসময় সাজ্জাকও ডাকাতি ঘটনার কারণে কারাগারে ছিল। আর সাজ্জাক আবদুলকেও কুকর্মের সঙ্গে বানিয়ে নেয়। করণদিঘি এলাকায় যাবতীয় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত ছিল এরা। ছিল পুলিশের নজরেও।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এসবের মাঝে গোয়ালপোখরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম এবং বিয়ে হয় আবদুল হোসেনের। সেখানেই স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে। তবে এর মাঝে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারেও সাহায্য করেছে অনেককে। পরবর্তীকালে সাজ্জাক আলম ফের জেলবন্দি হওয়ায় আবদুল মরিয়া চেষ্টা করে তাকে মুক্ত করার। তারই অংশ হিসেবে গত ১৬ তারিখ সাজ্জাক গুলি চালিয়ে জেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। পরে গোয়ালপোখরের কাছে সীমান্ত এলাকা কীচকটোলায় পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয় সে। সাজ্জাক পালানোর পর থেকেই পুলিশের নজরে পড়ে সঙ্গী আবদুলও। আর তা বুঝেই সে সীমানা পেরিয়ে বিহারের কিষাণগঞ্জ হয়ে ঝাড়খণ্ডে গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু সেই পথে বাধা পেয়ে ফিরে আসে গোয়ালপোখরেই। আর সেটাই কাল হয় তার। পুলিশ সোমবার গভীর রাতে রসখোয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আবদুলকে হেফাজতে নিয়ে এই কুখ্যাত চক্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ খবরাখবর মিলবে বলে আশা তদন্তকারীদের।