ট্যাংরায় হেলে পড়া বহুতল ভাঙ্গনের মুখে! কেঁদে ফেললেন বাসিন্দারা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৩০ জানুয়ারি: পুলিশ ও পুরকর্মীরা ট্যাংরায় হেলে পড়া ওই বহুতল বাড়ি ভাঙতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। ওইখানকার বাসিন্দারা তাদেরকে ভেতর থেকে কলাপসিবল গেট দিয়ে আটক করে রেখেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ অনুযায়ী, হঠাৎ করে কোন নোটিশ ছাড়াই এইভাবে বাড়ি ভাঙা যায় না। এতদিন ধরে সমস্ত সঞ্চয় করা টাকা পয়সা দিয়ে তারা এই বাড়িটি তৈরি করেছেন, যদি বাড়িতে ভেঙে ফেলা হয় তবে কোথায় যাবেন? এই প্রশ্ন তুলে কেঁদে ফেললেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। তারপর ভাঙার কাজ শুরু করতে দেবেন তাঁরা।

আগের বছর ৬ আগস্ট সাদা নির্মীয়মাণ বহুতলে পুরসভার তরফ থেকে ৪০১ নোটিস জারি করা হয়েছিল। এবং তার পরে আগের সপ্তাহে সবুজ বাড়ি থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। হরিয়ানার সংস্থার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানান, কলকাতার হেলে পড়া বাড়িগুলি কীভাবে সোজা অথবা উঁচু করা সম্ভব। যাবতীয় তথ্য সংস্থা থেকে চাওয়া হয়েছে। পুরসভা সন্তষ্ট হলে ওই সংস্থাকে হেলে পড়া বহুতলকে সোজা করার বরাত দেবে।

গত বুধবার থেকে চর্চায় ট্যাংরার (Tangra) ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বহুতল। পাশাপাশি দু’টি বাড়ি। একটি সবুজ, দ্বিতীয়টি সাদা। জানা যায়, পুর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ছ’তলার সাদা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তবে ওই বাড়িতে কেউ বাস করত না। কিন্তু পাশের সবুজ বাড়িতে লোক থাকে। সবুজ বহুতলটি ভার সহ্য করতে না পেরে সাদা নির্মীয়মাণ বাড়িটির দিকে হেলে পড়ে। এরপরই পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অবৈধ সাদা নির্মাণটিকে ভেঙে ফেলা হবে। তারপর স্পষ্ট হত, সবুজ বাড়িটির পরিস্থিতি ঠিক কী।