আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 5 ফেব্রুয়ারি: সিটি সিভিল কোর্টে আট নম্বর এজলাসের সামনে গুলিবিদ্ধ এক পুলিশকর্মী। এই অস্বাভাবিক ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শহর কলকাতায়। বুধবার সকালে আদালত চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক বিচারকের দেহরক্ষীর গুলিবিদ্ধ দেহ। খাস কলকাতায় এই ধরনের ঘটনা বেশ কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, নিজের কাছে থাকা ৯ এমএম সার্ভিস রিভলভার দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যেই দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মীর নাম গোপাল কুমার। মৃত গোপাল কুমার মালদা জেলার ইংরেজবাজারের উত্তর কৃষ্ণপল্লি এলাকার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি কলকাতায় থাকতেন। তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই পরিবারসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ওই আদালতেরই এক বিচারকের দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। এই দিন হঠাৎ সকাল ৭ টা নাগাদ একটি গুলির আওয়াজ শোনেন স্থানীয়রা। আওয়াজটি শোনা যায় নগর দায়রা আদালত চত্বর থেকে। তৎক্ষণাৎ আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়ে তারা দেখেন, চেয়ারের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ, রক্তাক্ত হয়ে রয়েছে চারিদিক। মাথায় গুলি লাগার কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনার তদন্তে নামেন। মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকালে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সকলের অপলকে। এই ঘটনার কোনও সাক্ষী নেই। আসল ঘটনা কি তা এখনও পর্যন্ত অধরা। সত্যিই আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধেছে সকলের মনে। কোনো পুলিশ কর্মী কেনই বা আদালত চত্বরে নিজের সার্ভিস রিভেলভার দিয়ে নিজে আত্মঘাতী হবেন, এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে সকলকেই। শুধুই কি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কাহিনী। কি কারণে আত্মঘাতী হলেন পুলিশকর্মী, নাকি তাকে খুন করা হয়েছে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে? ইতিমধ্যেই ঘটনাটির জোরদার তদন্তে নেমেছেন কলকাতা পুলিশ। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ এনে চলছে তদন্তের কার্যাবলী।
