আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 5 ফেব্রুয়ারি: ফের নয়া বিতর্কে সন্দীপ ঘোষ। তার বিরুদ্ধে এবার দেহ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মর্গ থেকে সেমিনার হলে দেহ পাচার হত বলে উঠেছে অভিযোগ। সেই মর্মে এবার উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশন। আরজিকর মামলার পর থেকে একের পর এক অভিযোগে, রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তিলোত্তমা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল গোটা রাজ্য। তখন থেকেই একের পর এক আঙুল উঠছে। যেন অপরাধের কোনো অন্ত নেই সন্দীপ ঘোষের। রোজ নতুন নতুন আপত্তিকর তথ্য উঠে আসছে তার বিরুদ্ধে। তরুণী চিকিৎসকের খুনের পিছনেও তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও আরজিকর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি, দেহ পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির সাথে তিনি যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিবিআই এর হাতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাব থাকায়, অচিরেই জামিন পেয়ে যান সন্দীপ ঘোষ। কিন্তু জামিন পেয়ে গেলেও, এবার মানবাধিকার কমিশনের হাতে দেহ পাচার মামলায় ফের বিপাকে সন্দীপ ঘোষ।
৫ ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবং দেহ পাচার মামলায় চার্জ তৈরি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও সন্দীপ ঘোষ সহ এই চার্জশিটে আরো বেশ কিছু অভিযুক্তের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ওই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত।অভিযুক্তদের তালিকার নাম রয়েছে আজফার আলী, সুমন হাজরা, আশিস পান্ডে, বিপ্লব সিংহ প্রমুখের। যদিও অভিযুক্তরা প্রত্যেকের এখন কারাগারে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আজ থেকেই শুরু হবে তদন্ত।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ ই আগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল ওই তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার জেরে উত্তাল ছিল সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ। জনসমুদ্রের মত প্রতিবাদ মিছিল নামে রাস্তায় রাস্তায়। ৮ থেকে ৮০ সকলের মুখেই প্রতিবাদের সুর শোনা যায়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। আজীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা হলেও তাতেও সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার সহ সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের দিকে আঙুল উঠেছে বহুবার। এই ঘটনার পরই আরজি করেন আর্থিক দুর্নীতির কথা ফাঁস হয়েছে। এবার তার জেরেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন মানবাধিকার কমিশন।