আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ ফেব্রুয়ারি: মেয়েটি তার বন্ধুর সঙ্গে বেশ অনেকক্ষণ ধরে ফোনে কথা বলছিল। তাই দেখে তার মামা বিরক্ত হয়ে তার ভাগ্নিকে থাপ্পড় মারে। যার জেরেই মৃত্যু হল মেয়েটির। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধনকৈল্য পঞ্চায়েতের উত্তর ধনকইল এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবং পুলিশ তার মামাকে আটক করেন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন,”মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ জমা পড়লেই আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর নাম বাণী চৌধুরী। বয়স মাত্র ১৫ বছর, এবং সে কালিয়াগঞ্জ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রসিদপুরের বাসিন্দা। ওই মেয়েটি লক্ষ্মীপুর মোহনচন্দ্র বিদ্যাভবনের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা ভোলা চৌধুরী, তিনি গুজরাটে মজুরের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। ভোলা চৌধুরীর দুই মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছেন, এবং সেই কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই বাইরে রয়েছে। কিশোরীর বাড়ির লোক জানিয়েছে, রবিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে নাবালিকা ভাগ্নী মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। দিনপাঁচেক আগে মামাও দিল্লি থেকে কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে ফিরেন। সেখানে ভাগ্নী ফোনে কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল।তা দেখেই মামা ভাগ্নীকে আচমকা সপাটে চড় কষিয়ে দেন।
তাতে বাড়ির উঠোনে লুটিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ভাগ্নী। কালিয়গঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে গভীর রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাগ্নীর মৃত্যু হয়। অকালে ছোট মেয়েকে হারিয়ে এদিন বাড়ির দাওয়ায় অঝোরে কেঁদে চলেছেন মা দীপা চৌধুরী। কাঁদত কাঁদতে তিনি বলেন,” স্বামী গুজরাটে। আজ বাড়ি ফিরবে। আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে আমার ভাইয়ের জন্য। কীভাবে কি করি, বুঝতে পারছি না। তাই এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেনি।”