আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 6 ফেব্রুয়ারি: নেতাজি নগর থানা এলাকায় ঘটে গেল এক বিরাট চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হলেন তনুশ্রী মাঝি নামের এক মহিলা। ৩৫ বছর বয়সী এই বিউটিশিয়ান পেশায় ছিলেন। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্বামী দেবাশিস মাঝি এবং চার বছরের এক মেয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তনুশ্রী তাঁর চার বছরের মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে যান। তিনি প্রতিবেশীকে জানিয়েছিলেন, কিছু জরুরি কাজ আছে এবং দুপুর একটার মধ্যে ফিরে এসে মেয়েকে নিয়ে যাবেন।
কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি মেয়েকে নিতে আসেননি। প্রতিবেশীর দাবি, দুপুর দেড়টা নাগাদ তনুশ্রীকে বাড়িতে ফিরতে দেখা গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে কোনো খোঁজ না মেলায় সন্দেহ জাগে। বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশী পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে নেতাজি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। সেখানে তনুশ্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তারা। দ্রুত তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, তনুশ্রী এবং তাঁর স্বামী দেবাশিসের মধ্যে গত ছয় মাস ধরে নানা বিষয়ে অশান্তি চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদের কারণে তনুশ্রী দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগছিলেন। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট বা সন্দেহজনক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তনুশ্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তিনি কোথায় গিয়েছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতার পরই বা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং পারিবারিক কলহ ছাড়াও অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।