আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 21 ফেব্রুয়ারি:
ইলাহাবাদের মহাকুম্ভে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইমন চক্রবর্তীর। গঙ্গাস্নান, ভক্তিগীতিতে ভরপুর পরিবেশ, আর বিশেষভাবে তৈরি গেরুয়া শাড়ি সহ প্রায় সব কিছুই প্রস্তুত ছিল। সেই শাড়ির পাড়ে লেখা ছিল মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। কিন্তু পরিকল্পনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় একটি দুর্ঘটনা। পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যায়। ফলে বাতিল হয় ইমনের তীর্থযাত্রাও।
কিন্তু ভাগ্যের লিখন কে খণ্ডাবে? পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ইমন, তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ এবং গানের দল পুনরায় মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পূর্বনির্ধারিত ২০ দিনের বিলম্বে শেষমেশ বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় ইমনের গানের অনুষ্ঠান। নির্ধারিত শাড়ি আর মানানসই গয়নায় সজ্জিত হয়ে তিনি মঞ্চে পরিবেশন করেন একাধিক লোকগীতি ও ভক্তিগীতি।
নীলাঞ্জন জানিয়েছেন, ইমন গেয়েছেন বাংলার কীর্তন “গৌরাঙ্গ রাই”, পাঞ্জাবি লোকগীতি “ছল্লা”, রাজস্থানি লোকগীতি “চৌধরী” এবং জনপ্রিয় ভজন। গঙ্গার তীর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তৈরি মঞ্চে জমায়েত হয়েছিল দর্শক আর ভক্তদের। গান, স্নান এবং পুণ্যের পরিবেশ যেন একাকার হয়ে গিয়েছিল।
গঙ্গাস্নানের মুহূর্তটিও বাদ যায়নি। ইমন ও নীলাঞ্জনের সেই অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে ধরা পড়ে। তবে পুণ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তুললে নীলাঞ্জনের মত, “পুণ্যে আমার তেমন বিশ্বাস নেই। তবে এই প্রথমবার মহাকুম্ভে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই পরিবেশে মিশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশ অন্যরকম। এখানে তারকা বা সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না।”
প্রয়াগরাজের পরিবেশ নিয়েও প্রশংসা করেন নীলাঞ্জন। লাখো মানুষের সমাগম সত্ত্বেও জল এবং রাস্তাঘাট যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখা হয়েছে। রাতের আলোর ব্যবস্থাও ছিল যথাযথ। হাঁটতে ভালোবাসা মানুষদের জন্য কোনো অসুবিধা হয়নি। তবে একথা স্পষ্ট যে, কলকাতায় ফিরে ইমন-নীলাঞ্জনের অভিজ্ঞতা শুধু স্মৃতির ঝুলিই সমৃদ্ধ করেনি, সঙ্গে এনেছে সুর ও ভক্তির অনন্য মেলবন্ধন।