আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৫ মার্চ: চার বছরের এক ছোট্টশিশু দাম্পত্য কলহের শিকার হয়েছে। অভিযোগ, তাকে আচার মেরে খুন করেছে তার নিজের বাবা। ব্রিজ থেকে জলঙ্গি নদীতে ফেলে দিলেন অভিযুক্ত। পুলিশ নদী থেকে ওই শিশুটির দেহ উদ্ধার করেছে। নদীয়ার ধুবুলিয়ায় এই হারহিম করা ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সত্তর তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, চার বছরের ওই শিশুটির বাবা বুদ্ধদেব ঘোষ ধুবুলিয়া থানার দু’নম্বর পঞ্চায়েতের মায়াকোল এলাকার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছে বেশ অনেক বছর হয়েছে। তাদের একটি চার বছরের কন্যা সন্তান ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয়। দম্পতির চার বছরের কন্যা ছিল। বুদ্ধদেবের স্ত্রীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন ধারনায় তাদের মধ্যে আগাগোড়াই অশান্তি লেগে থাকতো। গতকাল অর্থাৎ দোলের দিন ফের স্বামী-স্ত্রীর বচসা বাধে। ওই অভিযুক্ত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ফিরে জানতে পারে মেয়েকে রেখেই বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন স্ত্রী।
বুদ্ধদেব তাদের চার বছরের শিশুকে ওই অশান্তির পর ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপরই রাস্তায় মেয়েকে আছাড় মেরে খুন করে বাবা। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করতে জলঙ্গির ব্রিজ থেকে দেহ নদীতে ফেলে দেয়। ঘরে ফিরে অভিযুক্ত তার মাকে জানায়, নিজের হাতে সন্তানকে মেরে ফেলেছে। কথা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী অভিযুক্তকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে সে কোনও ভাবেই মুখ খুলতে চায়নি।
খবর যায় ধুবুলিয়া থানায়। বুদ্ধদেবকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। এরপরই ধুবুলিয়া থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে জলঙ্গি থেকে শিশুকন্যার নিথর দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং এলাকাবাসী।