আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৬ মার্চ: কন্নড় নায়িকা রানিয়া রাও শনিবার জামিন পাননি। তাকে সোনা পাচার মামলায় আটক করা হয়েছিল। এখন তিনি বেঙ্গালুরু রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান। এবার তার বাবাকে বাধ্যতা মূলকভাবে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, এবং তার বাবা একজন কর্নাটকের ডিজিপি পদাধিকারী পুলিশ আধিকারিক রামচন্দ্র রাও।
তার মেয়ে রানিয়া সোনা পাচারের কারণে পুলিশের কাছে ধরা পড়ায় রামচন্দ্র তার থেকে অনেকটা দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন। তিনি নিজেকে ‘ভগ্নহৃদয় পিতা’ বলে বর্ণনা করে দিয়েছেন, তার সঙ্গে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তার মেয়ের বিয়ের পর থেকেই রানিয়া আর তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। বাবা রামচন্দ্রই তার মেয়ের গ্রেফতারের প্রথম খবরটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রেই প্রথম পেয়েছিলেন বলেও দাবি। কিন্তু এবার তাঁকেও যেতে হল বাধ্যতামূলক ছুটিতে।
গত ৩ মার্চ রানিয়া রাওকে বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা। তবে অভিনেত্রী ওই টাকা ও সোনার কোনও রসিদ বা উৎসের কথা জানাতে পারেননি। পরে দুবাইয়ের শুল্ক দপ্তর জানিয়ে দেয়, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তিনি দুবাই থেকে সোনা কিনেছিলেন। এবং ঘোষণা করেছিলেন, ওই সোনা নিয়ে তিনি জেনেভায় যেতে চান। যদিও দেখা গিয়েছে, সোনা নিয়ে তিনি ভারতেই ফিরেছিলেন। এভাবে বারবার দুবাই যাওয়ার ভ্রমণ ইতিহাস থেকে পুলিশ নিশ্চিত, সোনা পাচারের কাজেই এতবার সেখানে যেতে হয়েছিল কন্নড় অভিনেত্রীকে।
এদিকে তদন্তকারীদের দাবি, তিনি একেবারেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। ফলে তাঁকে হেফাজতে রাখলে প্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনাও থাকবে না বলে দাবি পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে আদালত। এদিকে, এই মামলায় ধৃত তরুণ রাজুকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত।