জার্মানির একটি পিস ম্যার্কেটে পাওয়া এক অজানা দেবনাগরী লেখার পরিচয় সম্পর্কে সাহায্য চেয়েছেন। AcceptableTea8746 নামক এই Reddit ব্যবহারকারী দুটি হলুদ পাতার ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে সংস্কৃতে কিছু শব্দ লেখা দেখা যাচ্ছে।
আজ এখন ডেস্ক: সম্প্রতি এক ব্যক্তি Reddit-এ জার্মানির একটি পিস ম্যার্কেটে পাওয়া এক অজানা দেবনাগরী লেখার পরিচয় সম্পর্কে সাহায্য চেয়েছেন। AcceptableTea8746 নামক এই Reddit ব্যবহারকারী দুটি হলুদ পাতার ছবি শেয়ার করেছেন, যাতে সংস্কৃতে কিছু শব্দ লেখা দেখা যাচ্ছে। এই ব্যবহারকারী Reddit-এর r/india সাবরেডিটে পোস্ট করে অন্যান্যদের কাছে জানতে চেয়েছেন, এই পাতাগুলোতে আসলে কী লেখা আছে এবং তার অর্থ কী হতে পারে। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এটি আমি জার্মানির হামবুর্গ পিস ম্যার্কেটে পেয়েছি। কেউ কি বলতে পারবেন এটি কী?”
সোশাল মিডিয়ায় দ্রুত তার পোস্টটি নিয়ে প্রচুর প্রতিক্রিয়া এসেছে এবং বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এই লেখাটিকে বারাণসীতে ছাপা ‘পঞ্চাং’ সম্পর্কিত বলছেন। ‘পঞ্চাং’ হল হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি ধরনের ক্যালেন্ডার, যা শুভ মুহূর্ত বের করতে এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় ব্যবহৃত হয়। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটি বারাণসী (বর্তমানের বারাণসী) থেকে ছাপানো একটি পুরনো পঞ্চাং মনে হচ্ছে।”
আরেকজন ব্যবহারকারী বলছেন, এটি সম্ভবত ভারতের প্রধান প্রকাশকগণের একজন, পণ্ডিত নবল কিশোর ভার্গবের ভার্গব প্রেস থেকে প্রকাশিত একটি পঞ্চাং। এই প্রেসের লখনউতে ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, এবং পণ্ডিত নবল কিশোর ভার্গবকে মির্জা গালিবের কিছু লেখা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানানোর কথাও বলা হয়। আরেকজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে এই পঞ্চাং সম্ভবত ১৫০ থেকে ১৮০ বছরের পুরানো হতে পারে, এবং ভার্গব প্রেস দ্বারা মুদ্রিত।
পোস্টের মন্তব্যগুলোতে আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই পঞ্চাং প্রধানত গ্রহের অবস্থান দেখাতে এবং ধর্মীয় কাজে শুভ সময় নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত পুরোহিতগণ ব্যবহার করেন, যারা এটি পূজা-অর্চনার সময় নির্দেশিকা হিসেবে কাজে লাগান।”
এই পোস্টটি দেখায় যে সংস্কৃত ও পুরনো ভারতীয় গ্রন্থ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ এখনো স্থল পর্যায়ে টিকে আছে, যদিও সেটা ভারতের বাইরে। আজকের যুগে, যখন ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ একে অপরের সাথে যুক্ত হতে পারে, এ ধরনের পাণ্ডুলিপি এবং প্রাচীন গ্রন্থের সংরক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থগুলোর অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা কেবল ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাচীনত্বকে তুলে ধরে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের ভাণ্ডারও উপস্থাপন করে।