অভিনব উদ্যোগে আসছে দুয়ারে গ্রন্থাগার! ইন্টারনেট প্রজন্মকে বইমুখী করতে

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১১ মার্চ: বর্তমান প্রজন্ম এখন স্মার্টফোনের ওপরে নির্ভর ও তাতেই আসক্ত। আজকালকার পড়ুয়ারা বইয়ের থেকে কম বেশি ফোনে নজর থাকে। তাতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। তাই এখন খুব একটা পাঠাগারগুলিতে পাঠকদের দেখা যায় না। এবার অভিনব উদ্যোগে মঙ্গলকোটে ছাত্র-ছাত্রীদের বইমুখী করতে আসছে এক নতুন টেকনিক। পড়ুয়াদের সামনেই খুলে যাবে পাঠাগার, অপেক্ষা না করে এবার লাইব্রেরিই পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের কাছে। মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম সাধারণ পাঠাগার এবার ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার নিয়ে ঘুরবে এলাকার স্কুলে স্কুলে। এই উদ্যোগের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘দুয়ারে গ্রন্থাগার।’

আজকালকার দিনে প্রত্যেকটা মানুষ ছোট থেকে বড় সবাই স্মার্টফোনের প্রতি আগ্রহ বেশি। আর আজকালকার পূর্বাদের মধ্যে বই নিয়ে পড়ার আগ্রহ দেখাই যায় না বলতে গেলে। কোন প্রশ্নের উত্তর বা কোন বিশেষ বিষয় জানতে গেলে তারা বইয়ের পরিবর্তে ফোনকেই আগে বেছে নেয়। এ আই, google, বা ইউটিউব ঘেঁটে, এমনটাই দেখা যায়। তবে পড়ুয়াদের জন্য এই প্রবণতাটা খুব খারাপ বলে জানান শিক্ষাবিদরা। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে স্মার্টফোনের প্রতি ঝোঁক ও ‘ভরসা’ যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে তাদের মূল স্রোতে ফেরানো অর্থাৎ পাঠাগারমুখী করা কি আদৌ সম্ভব? মাজিগ্রাম সাধারণ পাঠাগারের সম্পাদক বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর কথায়, “আগে তো সবজি, মাছ থেকে টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনতে আমাদের অনেকটা দুরে বাজারে যেত হত। এখন তো গ্রামীণ এলাকাতেও সাইকেল ভ্যান বা অন্য যানবাহনে করে সেইসব জিনিস আমাদের বাড়ির সামনে চলে আসছে। ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র কিনতে সুযোগ পাচ্ছি। তাহলে পাঠাগারকেও এবার পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় এসেছে। আশা করছি এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।”

মাজিগ্রামের পাঠাগারের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার মঙ্গলকোটের বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে বইয়ের ভাণ্ডার নিয়ে পৌঁছে যাবে। মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সূচনার পর চাকুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কোঁয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে দুয়ারে গ্রন্থাগার কর্মসূচি চলবে। বইয়ের গাড়ির কাছে বসেই পড়ার সুযোগ পাবে ছাত্রছাত্রীরা। মাজিগ্রাম বিশ্বেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সাহা বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভীষণ ভালো উদ্যোগ। আমরাও পড়ুয়াদের সবসমই উৎসাহিত করি যাতে তারা বেশি করে বইমুখী হয়।”