আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ ডিসেম্বর: রাজস্থানের কোটায় বসবাসকারী এক কিশোর। সে এপ্রিল মাস থেকে একটি আইআইটি জেইই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এবং সে হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতেন। এবং সেইখানে ঘরের থেকে পাওয়া গেছে ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তথ্যে অনুমান, সে আত্মঘাতী হয়েছে তবে, ফ্যানগুলিতে আত্মহত্যা রোধের জন্য বিশেষ যন্ত্র বসানো সত্ত্বেও কেন ফের মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই বছরে প্রায় ১৭ জন পড়ুয়ার এইভাবেই মৃত্যু হল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স ১৬ বছর এবং তিনি ছিলেন কিশোর বিহার বৈশালী জেলার বাসিন্দা। সার্কেল অফিসার মুকেশ মিনা জানিয়েছেন, “কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” এখানে দ্বন্দ্ব রয়েছে পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে, না কি পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তবে দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই নাবালক আত্মহত্যা করছে।
২০২৩ সালে ২৩ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছিল। তারপর থেকে কঠিন পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। কোচিং সেন্টারগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়। পাাশাপাশি, পড়ুয়াদের বেশি চাপ না দেওয়ার জন্য সর্তক করা হয়। কিন্তু আত্মহত্যা থামেনি। গতবারের থেকে চলতি বছরে ছাত্র মৃত্যুর সংখ্যাটা কম হলেও, একজন ছাত্রও কেন পড়তে এসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে সেই প্রশ্ন উঠছে। যা প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।