আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৩০ জানুয়ারি: সেই ২০১৪ সাল থেকে লড়াইয়েতে ক্লান্ত। লড়াই করার জন্য আর শক্তি নেই। এক বাবার তার মেয়ের জন্য সুবিচার পাওয়ার জন্য হতাশার স্বীকারোক্তি। তিনি বলছেন, “দোষীকে সাজা দিলেও তো আমার মেয়ে আর ফিরবে না। কীই বা হবে এসব করে!”
মেয়েটির বাবার নাম এস জনাথান প্রসাদ। আজ থেকে প্রায় ১১ বছর আগে মুম্বাইয়ে তার মেয়ে মানুহিয়াকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছেন শুধুমাত্র বিচারবাদ বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মেয়ের কপালে জুটল না সুবিচার টুকু। গতকাল অভিযুক্ত চন্দ্রভান সনপকে সুপ্রিম হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে।
তবে ঠিক কি হয়েছিল আজ থেকে ১০ বছর আগে? অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার মেয়ে এস্থের ২০১৪ সালে বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে ভোর বেলায় বাড়ি থেকে মুম্বইয়ের কুরলায় ফিরেছিল। চন্দ্রগ্রহণ ওই মেয়েটিকে নিজেকে ট্যাক্সি চালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এস্থেরকে বাইরে নিয়ে যায়। ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের কাছে ওই মেয়েটিকে টানতে টানতে একটি ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সনপ। এস্থের বাধা দিতে গেলে, ভারী পাথর দিয়ে তাঁর মাথার উপর্যুপরি আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়। এস্থেরের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে সনপ।
তিনি বলছেন, “আমরা আর কীই বা করতে পারি। আমরা তো জানতামই না কী ঘটছে। এটাও জানতাম না যে ও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আমরা কী করব বলুন। ঈশ্বরই বিচার করুন। তাছাড়া যা-ই হোক মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না।” বম্বে হাই কোর্ট যখন ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল, তখনও কিছুটা শান্তি পেয়েছিলেন জনাথান প্রসাদ। ভেবেছিলেন কিছুটা তো সুবিচার হল। তিনি বলছেন, “আমার বয়স ৭০ পেরিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত। আমার স্ত্রী ডায়াবেটিক, আর লড়াই করতে পারছি না আমরা।”