আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 28 ফেব্রুয়ারি: ৪৬, ৪৬এ এবং ৪৬বি রুটের সমস্ত বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে টানা তিন দিন। এই রুটের বাস বন্ধ থাকায় যাতায়াতে নাজেহাল যাত্রীরা। প্রতিদিন প্রায় ৬৩টি বাস এয়ারপোর্ট, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কলেজ স্ট্রিটসহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দিয়ে চলাচল করত। ফলে হাজার হাজার যাত্রী কর্মব্যস্ত দিনে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বাস মালিক এবং কর্মীদের অভিযোগ, হীরালাল খেওড় নামে এক শ্রমিক নেতা দীর্ঘদিন ধরে কর্মীদের বোনাসের টাকা তছরুপ করে আসছেন। তাঁর এই ‘দাদাগিরি’র প্রতিবাদে বাস মালিক এবং কর্মীরা একজোট হয়ে বাস পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে পরিষেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব নয়।
‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট’-এর সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাস মালিকদের অনেকেই লোন নিয়ে বাস কিনেছেন এবং নিয়মিত ইএমআই দেন। কিন্তু শ্রমিক নেতাদের দুর্নীতির জন্য তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। কর্মীদের প্রাপ্য সুবিধাও আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়।”
যদিও বাস মালিকদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হীরালাল খেওড়। তাঁর দাবি, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে বাস মালিক এবং কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়।পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে জানান, “পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” তবে কবে নাগাদ বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।