আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৪ ডিসেম্বর: ২০২৪ শেষে এসে বাংলাদেশের অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ আমরা সবাই জানি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ওপর অত্যাচার নিয়ে আমেরিকা অনেকদিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিষয় নিয়ে ক্যাবিনেটে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। বারবার ইউনুস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইনি এবার ইউনুসকে সরাসরি ফোন করে সতর্ক করলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। গতকাল সুলিভান মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুরক্ষার জন্য কিছু তথ্য দিলেন কি। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার পাঠ দেন। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ইউনুসও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার কথায় সহমত পোষণ করে জানিয়েছেন, ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে সকলের সুরক্ষার প্রতি যত্নশীল হবেন। নজর দেবেন মানবাধিকার রক্ষাতেও।
বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন চরম পর্যায় পেয়ে গেছে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই।ওইখানকার মানুষদের ওপর অনেকদিন ধরেই অত্যাচারের ধারাবাহিক খবর প্রকাশ্যে আসছে। এছাড়া মন্দিরে হামলা, সেবাইত-পুরোহিতদের টার্গেট করে আক্রমণও চলছেই – সবমিলিয়ে সে দেশে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিন্দুরা। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণর গ্রেপ্তারি, জেলবন্দিতে সেই ছবিটা আরও বেআব্রু হয়েছে। এসব নিয়ে এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঠ দিতে সরাসরি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ইউনুসকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুলিভান। যদিও এই ফোনালাপ নিয়ে স্পিকটি নট ইউনুস সরকার।
হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতেই ইউনুসকে ফোনের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ধর্মীয় সুরক্ষা নিয়েই কথা হয়েছে বলে খবর। বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘‘জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার নিয়ে সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেছেন জ্যাক সুলিভান ও মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।” বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে জ্যাক সুলিভানের এই ফোন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।