আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৩ মার্চ: এমনিতেই বিট নিরীহ। এই সবজিটি শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি রয়েছে বিটের রসে। তাই ত্বক এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখে।
বলিউড অভিনেত্রী কৃতি সানন থেকে আলিয়া ভট্ট সকলেই বিটের অনুরাগী। তাদের সব খাবারই বিটের স্যালার্ড, কিংবা বিটের হালুয়া— প্রতিদিনের ডায়েটে তাদের থাকে। প্রায়শই সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত রিল ঘোরাফেরা করে। সাধারণ মানুষ ও তা দেখে অনুপ্রাণিত হয়। বিট এমনিতে নিরীহ। শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এই সব্জিটি। বিটে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই ত্বক এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিট খাওয়া ভাল। কিন্তু বেশি খাওয়া বিপদের। কেন?
বিটের রস থেকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) বিটের রসে নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি। সাধারণত এই ধরনের উপাদান রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। দেহের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করতেও বিটের ভূমিকা রয়েছে। তবে এই নাইট্রেটের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তা পাকস্থলীর মধ্যে থাকা অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে ‘এন-নাইট্রোসো’ নামক একটি উপাদানে রূপান্তরিত হয়। ‘ক্লিনিক্যাল রিভিউজ় ইন ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ‘এন-নাইট্রোসো’ উপাদান থেকে ক্যানসার হলেও হতে পারে।
২) বিটের রসে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি। ক্যালশিয়ামের সঙ্গে এই উপাদাটি মিশলে সহজেই তা ক্যালশিয়াম-অক্সালেটে পরিণত হয়। কিডনি, মূত্রাশয় কিংবা মূত্রথলিতে তা ক্রিস্টালের আকারে জমতে থাকে। যাঁদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা বিটের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
৩) যাঁরা অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিটের রস ক্ষতিকর। কারণ, বিটের রসেও অম্লের পরিমাণ বেশি। তাই খালি পেটে এই পানীয় খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে।