আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 18 ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে ক্রমাগত কাটছাঁট করেছে এবং দেশীয় উৎপাদন ও রফতানিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তবে ২০২০ সালে ঘোষিত ‘প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রফতানি নীতি’ (ডিপিইপিপি)-র লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এখনও অনেক দূর যেতে হবে বলে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে।
ডিপিইপিপি অনুসারে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকার (সেই সময়ের হিসাবে ৫০০ কোটি ডলার) অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১,৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্য পূরণে এখনও ১৪ হাজার কোটির ঘাটতি রয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী, পাঁচ বছরে ৫০০ কোটি ডলারের বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। তবে এই সময়কালে ভারত ১০০টির বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম রফতানি করেছে, যা রফতানি ক্ষেত্রে অগ্রগতির ইঙ্গিত। পাশাপাশি, দেশীয় উৎপাদনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে সহায়ক হয়েছে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে মোদী সরকার ২০২১ সালে প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি নিষিদ্ধ করে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র আওতায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্ব দিয়েছে।