আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ ডিসেম্বর: এদিন সকালে জানা গেছে প্রাণভয়ে বনগায় অনুপ্রবেশ করেছেন তিন বাংলাদেশি হিন্দু। ওই তিনজন তাদের এক আত্মীয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই খবর জানতে পেরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে এবং বৃহস্পতিবার দিন ওই ধৃতদের মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। এখন তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (হিন্দু সন্ন্যাসী) গ্রেপ্তারের ঘটনায় পরিস্থিতি অনেকটাই বেসামাল হয়ে রয়েছে। তার কারণেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগও যথেষ্ট উঠছে। আর এই সময় হঠাৎ করে চোরাপথে বনগায় পালিয়ে আসে এক দম্পতি ও তাঁদের ভাগ্নে।
পুলিশ জানিয়েছে, যারা পালিয়ে এসেছে তারা হলো গীতা মণ্ডল, ভবসিন্ধু মণ্ডল ও তাঁদের ভাগ্নে সুদীপ মণ্ডল। তারা প্রত্যেকেই গোপালগঞ্জের বাসিন্দা।ওই দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডলের এ রাজ্যে বিয়ে হয়েছে। তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সে কারণেই তাঁর বাবা-মা ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুপ্রবেশকারীরা যাঁর বাড়িতে থাকছিলেন সেই খোকন বিশ্বাস বলেন, “ওদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এঁরা ভয়ে এক ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে এসেছেন। জানতে পেরে পুলিশ ধরেছে।” একই কথা দম্পতির মেয়ে বর্ণা মণ্ডল মুখে, “বাংলাদেশে সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ। ভয়ে বুধবার বাবা-মা এখানে চলে এসেছেন। পুলিশ জানতে পেরে গ্রেপ্তার করেছে।”
এদিকে, হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল তা কার্যত স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দেশের অস্থির এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে আর আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।