আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৭ ডিসেম্বর: পুতুল ও কৃষ্ণ এরা একে অপরকে অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন। এবং তাদের আলাপ হয়েছে এক বান্ধবী সূত্রে। এরা দুজনেই জন্মান্ধ এবং রবিবারের মধ্যে রাত্রে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। তারা একে অপরের স্পর্শের আলোতে শুভদৃষ্টি সারলেন। স্বামীর হাত ধরে রায়গঞ্জ থেকে হুগলি পান্ডুয়ায় রওনা দিলেন নববধূ পুতুল।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকের ভর্তি হল পরীক্ষা দিতে পারেননি পুতুল। তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দা। এইদিকে কৃষ্ণ দাস হুগলির পান্ডুয়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন হকার। ট্রেনে বাসে আমলকি বিক্রি করেন। তবে তাদের দুজনের মধ্যে একটাই মিল যে,তাঁরা জন্মান্ধ। তারা জীবনে লাঠিকে ভরসা করে এগোচ্ছেন।ভাবেননি কোনওদিন কেউ এসে হাত ধরবে। কিন্তু ভাগ্যে যা লেখা, তা তো হবেই। এক বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয় হয় পুতুল ও কৃষ্ণের। কিছুদিন প্রেমের পরই এক হল চার হাত।
রায়গঞ্জ স্টেশনে স্বামীর হাতে হাত রেখে নববধূ পুতুলদেবী বললেন, “অনেক কষ্ট করে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি। ভেবেছিলাম, জীবনে একাই থাকব। কিন্তু আমার বান্ধবীর সাহায্যে আজ একজনকে পেলাম।” অন্যদিকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে পাশে নিয়ে কৃষ্ণ বলেন, “পথ চলার লাঠি একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু আজ আমার সহধর্মিনী আমার নতুন সঙ্গী।” জানা গিয়েছে, এই বিয়েতে সহযোগিতা করেছেন রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী থেকে শুরু করে রায়গঞ্জের পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। সেইসঙ্গে স্থানীয় পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে পাড়া প্রতিবেশীরাও এগিয়ে আসেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় সাড়ে তিনশোজন।