আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 30 ডিসেম্বর: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার উত্তপ্ত সীমান্তে সংঘাত ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সাম্প্রতিক ঘটনায়, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের এয়ারস্ট্রাইকের পর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের দাবি, নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবানের জঙ্গি শিবিরে হামলা চালাতে তারা এই এয়ারস্ট্রাইক করেছে। পাল্টা জবাবে, আফগান তালিবানরা পাকিস্তানি সীমান্তের বিভিন্ন ছাউনিতে আক্রমণ চালায়।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সীমান্তের ঘোজগারহি, মাথা সাংগার, এবং কোট রাঘার এলাকায় আফগানিস্তানের তরফে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। এই সংঘর্ষে পাকিস্তানের এক প্যারামিলিটারি সদস্য নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে এই হামলায় অন্তত ৮ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে কিছুদিন আগে, যখন পাকিস্তান দাবি করে যে আফগানিস্তান থেকে জঙ্গিরা তাদের সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিল। এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানি সেনারা তৎপর হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, কাবুলের অভিযোগ, পাকিস্তানের হামলায় নিরীহ আফগান নাগরিকদের প্রাণহানি হচ্ছে। আফগান সরকার মনে করছে, এই হামলাগুলি তাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। পাকিস্তান বারবার কাবুলকে সতর্ক করেছিল তেহরিক-ই-তালিবানের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার জন্য। কিন্তু, ইসলামাবাদের দাবি, কাবুল কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে, দিল্লি-সহ আন্তর্জাতিক মহলও এই সংঘাতের দিকে গভীর নজর রাখছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই সংঘর্ষের ফলাফল কেবল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।