আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২২ জানুয়ারি: বাইরে থেকে আসা তথা অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করা হবে’, এমনটাই নোটিশে জানালেন বনদপ্তর থেকে। এই রূপ ঘোষণা শোনার পর আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে সেই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা অনুযায়ী, কিভাবে বনদপ্তর কাউর সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই এমনভাবে নোটিশ দিতে পারে? বক্সয় যেসব রিসর্ট, হোম স্টে, হোটেল নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। বললেন, “কে বাড়িতে হোম স্টে করবে, সেটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন এয়ারফোর্সকে রীতিমত করা বার্তা দিয়েছেন যে, ‘অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করা হবে’। তিনি আরও বলেন, “বনদপ্তর, ডিএম, এসপি কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে এয়ারফোর্স কীভাবে আমাদের জায়গায় এমন নোটিস দিতে পারে? তাছাড়া এই লাইনটা ভীষণ আনহেলদি। এরকম নোটিস দেওয়া যায় কি?” এরপরই বায়ুসেনাকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। বলেন, “যদি পরিকল্পনা করে কেউ একাজ করে থাকে তাহলে এমন ভাবার কারণ নেই যে আমরা ছেড়ে দেব।” এবং তিনি সাফ জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তিনি আর বরদাস্ত করবেন না।
বক্সায় হোম স্টে, রিসর্ট, হোটেল নিয়ে জটিলতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। একাধিক হোটেল, হোম স্টে বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। জল গড়িয়েছে আদালতে। যার জেরে ভোগান্তির শিকার পর্যটকরা। বুধবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে এই সমস্ত ইস্যুতেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন হোম স্টে বন্ধ করা হবে? তা নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “কে বাড়িতে হোম স্টে করবে, সেটা তার সিদ্ধান্ত। এখানে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।” এরপরই যাদের হোম স্টে বন্ধ করা হচ্ছে, তাঁদের আদালতে গিয়ে লড়াই করার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জঙ্গল সাফ করে যদি কোথাও আবাসন গড়ে তোলা হয়, তাতে যে বা যাঁরা বিল্ডিং প্ল্য়ানে অনুমোদন দেবেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের থেকে জঙ্গল সাফারির নামে বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না বলেও সাফ জানান মমতা।