আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ জানুয়ারি: রাজ্য সরকার নিজেই বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে বিনিয়োগ করেছ। ২০২৫ সালে তার পরিসংখ্যা গুনে দেখা গেছে, গত এক দশকে শুধুমাত্র রাজ্যই ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করেছে স্বাস্থ্যখাতে। স্বাস্থ্যদপ্তর তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা বেশ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ২০১১ সাল থেকে এই পরিকাঠামো উন্নয়নসহ বহু কাজের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।পরিসংখ্যান বলছে, মমতার জমানায় গত ১২ বছরে রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ১১ থেকে বেড়ে ৩৫টি হয়েছে। এমবিবিএস-এ আসন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩০০। নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ায় এখন তা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়েছে। ব্লকস্তরের হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পরিষেবার মান বাড়ানো হয়েছে। আর এসবই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সুপরিকল্পনার মাধ্যমে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উপযোগী প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাস্থ্যসাথী’। যার সুবিধা পাওয়া যায় রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার চিকিৎসার খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকে সরকারের তরফে। তাতে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের ২.৫ কোটি পরিবার। বিনামূল্যে রোগ পরীক্ষার জন্য রাজ্যে ১৬০টি ইউনিট তৈরি হয়েছে। রাজ্যের সব হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান তৈরি হয়েছে। এসব দোকানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়ে জেনেরিক ওষুধ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এমনই নানা পদক্ষেপে পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি। যার পিছনে রাজ্য সরকারের বিনিয়োগের পরিমাণ গত ১০ বছরে দেড় লক্ষ কোটি টাকা!