আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 31 জানুয়ারি: জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতে ভয়ঙ্কর পরিণতি। মেয়ের পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় রাগে পাত্রের পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে পাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তার কারণ হামলাকারীদের বদলে মৃতের পরিবারের সদস্যদেরই আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধূপগুড়ির বাসিন্দা সুমিত মজুমদার গত ১৫ জানুয়ারি ফালাকাটা ব্লকের ধনিরামপুরের এক যুবতীর সঙ্গে পালিয়ে যান। মন্দিরে বিয়ে করে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে তাঁরা জলপাইগুড়ি আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেন। বিচারক তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক ঘোষণা করে আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
যদিও পাত্রীর পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ছিল। আদালতে গিয়েও মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে সুমিতের বাড়িতে চড়াও হয় মেয়ের পরিবার। শুরু হয় নির্বিচার হামলা। পাত্রের পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করা হয়। সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাও রেহাই পাননি। এই হামলায় গুরুতর আহত হন সুমিতের বাবা মুরারি মজুমদার।
মুরারিকে প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে পুলিশ মৃতের পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করেছে। এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি থমথমে হলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।