আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১১ মার্চ: এক অধ্যাপক ও তার স্ত্রী তাদের দুই নাবালক সন্তানকে খুন করে, পরে নিজে আত্মঘাতী হন। সোমবার রাতে হায়দরাবাদের হাবসিগুড়ায় এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের তরফ থেকে মঙ্গলবার এই ঘটনাটি তথ্য প্রকাশ্যে আসে। মৃতদের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট মেলে।পুলিশের দাবি, প্রথমে সন্তানদের গলা টিপে হত্যা করেন ওই দম্পতি। এরপর পাশের ঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হন তাঁরা।
হাবসিগুড়ার রবীন্দ্রনগর কলোনিতে বাস করতেন ওই দম্পতি। গতকালের রাত সাড়ে নটা সময় পুলিশের কাছে একটি ফোন যায় প্রতিবেশীদের থেকে। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এরপর বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় চারজনের দেহ। এমনটাই বলেন ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি থানার পুলিশ আধিকারিক এন রাজেন্দ্র। বন্ধুটি সন্তানের গলা টিপে পড়ে আত্মঘাতী হন ওই দম্পতি, এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তবে ওই সুইসাইড নোটটি ছিল মৃত যুবকের লেখা। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তার উপর চাকরি হারানোর জেরে চরম আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। যার জেরেই গোটা পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই পরিবার আদতে মেহবুবনগর জেলার মুকুরাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। বছরখানেক আগে হাবসিগুড়াতে আসেন তাঁরা। পূর্বে একটি বেসরকারি কলেজে লেকচারার হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। তবে গত ৬ মাস ধরে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। যার জেরেই মানসিক অবসাদে এই কাণ্ড ঘটান তিনি।