বিহারীনাথ পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার দুর্গাপুরের তরুণী,পলাতক অভিযুক্তরা

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 16 ফেব্রুয়ারি: প্রেম দিবসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন এক তরুণী। অভিযোগ, বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে তাঁকে চার যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এক অভিযুক্তের মা-বাবাকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ওই তরুণী কিছুদিন ধরে আসানসোলের বার্নপুরে মামার বাড়িতে থাকছিলেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি মামাতো বোন ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন বিহারীনাথ পাহাড়ে। তাঁদের দলে চারজন তরুণ এবং চারজন তরুণী ছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই চার যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে এবং তারপর পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর নির্যাতিতার বন্ধুরাই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়ি ফিরে তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে তিনি পুরো ঘটনা খুলে বলেন। এরপর পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং পুলিশের পরামর্শে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল মহিলা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত চার যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই আসানসোলের হিরাপুর থানার পুলিশ এক অভিযুক্তের মা-বাবাকে আটক করেছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার হাসপাতালে পৌঁছোন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘এক তরুণীকে চার যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে। আমি বিধায়ক হিসেবে দেখা করতে এসেছি, কিন্তু আমাকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির ব্যবস্থা করবেন?’’

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিধায়ক নিয়ম ভেঙে একসঙ্গে দলবল নিয়ে হাসপাতালের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করেন। তাই নিরাপত্তারক্ষীরা বাঁধা দেয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ও আসানসোল এলাকায়। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।