আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 18 ডিসেম্বর: ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে?’ এমন প্রশ্ন বহু দিন ধরেই দেশের রাজনীতির কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি শিবিরের তরফে বারবার দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠে এসেছে। এই বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রাখলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই কথা জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়, রাষ্ট্র সংস্কারের নামে কেন নির্বাচন দেরি হচ্ছে। এটি গণ–আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” লন্ডন থেকে এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি অভিযোগ করেন, “প্রভাবশালী মহল বিএনপির সম্ভাব্য জয়ের পথ রুদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দাবি করেছেন, “ভোটার তালিকা সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়িয়ে ৩-৪ মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। দেরি করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।”
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্যও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কিছু দিন আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে, গত অক্টোবরে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালেই নির্বাচন সম্ভব।
এমন অবস্থায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরের চাপ আরও বাড়ছে। ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, কেন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ এত দেরিতে ঘোষণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি ক্রমশ বড় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠেছে। তবে তাঁদের অভিযোগ ও চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে।