গ্রীন কার্ড থাকলেও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নয়! চিন্তার ভাঁজ কপালে প্রবাসীদের

আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১৬ মার্চ: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেদিন বলেন, আমেরিকার গ্রিন কার্ড থাকলেই যে স্থায়ীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস করতে পারবে এমনটা নয়। এবার আমেরিকার অভিবাসন নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথার রেশ ধরেই এবার ভ্যান্স গ্রিন কার্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, “এক জন গ্রিন কার্ডধারীর আমাদের দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অধিকার নেই।” এই কথা শুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী ভারতীয়দের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ট্রাম্প আরো একবার আমেরিকায় ক্ষমতায় ফিরে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমেরিকা থেকে প্রত্যেকটা অধিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো ব্যবস্থা করছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দিক থেকে খুব কঠোর শুল্কনীতির কথা ঘোষণা করেছেন। তার উপর, আমেরিকায় জন্মগত নাগরিকত্ব আইন বদল নিয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন ট্রাম্প। এই আবহেই আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে বড় বদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তাঁর প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন।” পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা দিলে মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’। অর্থাৎ মার্কিন নাগরিকত্ব। এর ফলে গ্রিন কার্ড ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। এই গোল্ড কার্ডকে বলা যায় ‘গ্রিন কার্ড’-এরই ‘প্রিমিয়াম’ সংস্করণ। গ্রিন কার্ড দেওয়ার যে প্রকল্প তার নাম ইবি-৫।