আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 23 ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে আধার কার্ড ও পাসপোর্ট সহ একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল মোহাম্মদ শাদ রাডি, যার আসল পরিচয় বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা। আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য এই জঙ্গি জাল নথি ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করছিলেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শাদ রাডি পশ্চিমবঙ্গের নওদা বিধানসভায় নিজের নাম মোহাম্মদ শাব শেখ নামে ভোটার কার্ড তৈরি করেছিল। আধার কার্ড, পাসপোর্টসহ একাধিক নথি জোগাড় করে সে ভারতীয় পরিচয়ে বাস করতে শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র সংগ্রহ এবং স্লিপার সেল সদস্য বৃদ্ধি করা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, শাদ রাডি ও তাঁর সঙ্গীরা আল-কায়দা দ্বারা অনুপ্রাণিত এই সংগঠনের কাজ পরিচালনা করছিল।
শাদ রাডি কেরলেও পরিযায়ী শ্রমিক সেজে নিজের কার্যকলাপ চালিয়েছিল। আটজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করার সময় জানা যায়, তাঁদের মধ্যে দুজন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। আব্বাস আলী ও মিনারুল শেখ নামে এই দুই ব্যক্তিও এই জঙ্গি চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। গোয়েন্দাদের মতে, এই চক্রের মূল লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডোর (চিকেন নেক) এলাকায় নাশকতা এবং প্রাণহানি ঘটানো। ফালাকাটাসহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় স্লিপার সেল তৈরি এবং লোক রিক্রুট করার পরিকল্পনা চলছিল।
গ্রেপ্তার হওয়া শাদ রাডি এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রধান নির্দেশদাতা ছিল ফারহান ইশরাক, যিনি বাংলাদেশ থেকে পুরো নাশকতার ছক পরিচালনা করছিলেন। ধৃত শাদ রাডির কাছ থেকে বাংলাদেশের পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে এই জঙ্গি চক্র জাল নথির মাধ্যমে নিজেদের বৈধ পরিচয় তৈরি করে। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। এই ঘটনার পর গোটা রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডোরকে সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।