আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১০ ফেব্রুয়ারি: বিধ্বংসী আগুনে বাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছিল ওই পরীক্ষার্থীর। আগুনে ঝলসে গিয়েছে তার বইখাতা, অ্যাডমিট কার্ড সব কিছুই। কিন্তু তার বাবা রিয়াজুল আলম ওই আগুনে মারাত্মকভাবে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে তার মেয়ে রেনুইয়া খাতুন মন শক্ত রেখে নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড হাতে নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিল। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই এল দুঃসংবাদ পরিবারে। আজ তার বাবা ওই হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।
ওই পরীক্ষার্থী উলুবেরিয়া বাগনান থানার হালান গ্রাম পঞ্চায়েতের খারুলপাড়া এলাকায় থাকতেন এবং সেখানেই তার বাড়িতে পরীক্ষার কয়েক আগে আগুন লাগে। সেই বাড়ির মেয়ে রেনুইয়া খাতুন এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার রেজিস্ট্রেশন কার্ড,বইপত্র, নোটস, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে যায়। তবে তার পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় ওই পরিবার পরে মাথা গোঁজার জায়গা পান।
সেখানেই শেষ মুহূর্তে ওই ছাত্রী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। নতুন অ্যাডমিট কার্ড গত শুক্রবার তাঁকে দেওয়া হয়। এদিন সকালে পরীক্ষার জন্য রওনাও হয়। রুপাসগড়ি হাইস্কুলে তার পরীক্ষার সিট পড়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময়েই পরিবারের কাছে খবর আসে, তার বাবা আর নেই। কিন্তু পরিবারের থেকে বাবার মৃত্যুর সংবাদ তাকে দেওয়া হয়নি। এদিন পরীক্ষায় বসার আগে ওই ছাত্রীকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রধান এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান। জানা গিয়েছে, আগুনে সব হারিয়েও অসম্ভব মনের জোর দিয়ে পরীক্ষায় বসেছে ওই ছাত্রী।
ছাত্রীর বাবার মৃত্যুর কথা জেনেই ওই স্কুলে হাজির হন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মাসুদ। পরীক্ষা শেষে রেনুইয়াকে তিনিই বাড়ি নিয়ে যান। বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় রিয়াজুল আলম গুরুতর জখম হয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।