প্রথমে ট্যাংরার এবার মধ্যমগ্রাম! শিশুকন্যা ও মায়ের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য, খুন নাকি আত্মহত্যা?

আজ এখন নিউজ ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার,১ মার্চ: বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হলো মা ও মেয়ের মৃতদেহ। এদিন সকালের ট্যাংরায় বাবা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেছে তারপর। এবার মধ্যমগ্রামের পালা। পুলিশ অনুমান করছে, নিজের মেয়েকে খুন করে তারপর আত্মঘাতী হয়েছেন মা। তবে কি কারনে এই মৃত্যু ঘটেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে, তবে এই ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবতী নাম মধুমিতা রায়। তিনি তার মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে মধ্যমগ্রাম দোহারিয়া শৈলেশ নগর দুর্গা মণ্ডপ এলাকায় ভাড়া বাড়ি নিয়ে থাকতেন। তার স্বামীর নাম প্রসেনজিৎ রায়, এবং তিনি একটি পিচবোর্ড কারখানায় কাজ করেন। আজ থেকে সাত বছর আগে তারা বিয়ে করেছিলেন। এবং বিয়ে দু’বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।

মধুমিতা ঘটনার দিন ফোনে তার স্বামীর সাথে কথা বলছিলেন। তারপরে প্রসেনজিৎ দু’বার ফোন করলেও মধুমিতা আর ফোন ধরেননি। পরে মুদিখানার দোকানে ফোন করে খোঁজ নেন তাঁর স্বামী। তখনই অন্যান্য ভাড়াটিয়া-সহ প্রতিবেশীরা ঘরে গিয়ে দেখেন মা ও মেয়ের দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ঘরে কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছেন।তাঁদের উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মা-মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তাঁদের মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়।

কী কারণে তাদের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।মেয়েকে খুন করে মা আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মধুমিতা মানসিক সমস্যাস ভুগছিলেন কি না, তাও দেখা হচ্ছে। এদিকে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে স্বামীকে হোয়াটসঅ্যাপে সুইসাইড নোট লিখে যায় “মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” তবে কাজে থাকায় সেই মেসেজ চোখে পড়েনি, প্রসেনজিতের। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।