আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 12 ফেব্রুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বাজেটে কর্মচারীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বুধবার অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করে ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) ৪ শতাংশ বাড়ানো হবে। এর ফলে ডিএর হার ১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ শতাংশ। বর্ধিত ডিএ ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই মমতা সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই কর্মচারীদের মন জয়ের জন্য বড় অঙ্কের ডিএ বৃদ্ধির দাবি জোরালো ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের তুলনায় রাজ্যের কর্মচারীরা ডিএর ক্ষেত্রে বড় ফারাকের অভিযোগ তুলে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা বর্তমানে ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন, যা রাজ্যের কর্মচারীদের ১৪ শতাংশ ডিএর তুলনায় অনেকটাই বেশি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অষ্টম পে কমিশন ঘোষণার পর এই ফারাক আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে লাগাতার আন্দোলন ও সমালোচনার মুখে পড়ে নবান্ন। এর ফলে সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়। কর্মচারীদের মন পেতে এবং আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে প্রশাসনিক কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করতে ডিএ বাড়ানোর এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এছাড়াও, বাজেটে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দ হলেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে জনমোহিনী পদক্ষেপ হিসেবে এই ঘোষণাগুলি রাজ্যবাসীর জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিরোধীরা অবশ্য ডিএ বৃদ্ধিকে অপ্রতুল বলে অভিহিত করেছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই সামান্য ডিএ বৃদ্ধিতে রাজ্যের কর্মচারীদের প্রতি বঞ্চনা মিটবে না। মমতা সরকার কেবল ভোটের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ এই ঘোষণাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএর ফারাক পূরণে আরও বড় উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।