আজ এখন নিউজ ডেস্ক,২৭ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ আহমেদ মুন্সি সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গত ১০ বছরে অন্তত তিনবার পাকিস্তানের লাহোরের কাছে মুদরিকেতে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান সদর দফতরে গিয়েছিল জাভেদ। সেখানেই সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, মুম্বই হামলার সময় ধৃত আজমল কাসভও মুদরিকেতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল।
হাফিজ সইদের ছেলের সঙ্গে বৈঠক
গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, সম্প্রতি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে লস্করের শীর্ষ নেতা এবং হাফিজ সইদের ছেলে তলহা সইদের সঙ্গে বৈঠক করে জাভেদ। তলহা সইদ বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নেতৃত্বে রয়েছে। তার নির্দেশেই জাভেদ পশ্চিমবঙ্গে আসে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে নাশকতার পরিকল্পনা করে।
বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে নাশকতার ছক
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশ সীমান্তের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে লস্কর। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার অজুহাতে পশ্চিমবঙ্গে এসে জাভেদ আসলে জঙ্গি করিডর তৈরির চেষ্টা করছিল। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সীমান্তের কৌশলগত স্থানগুলো চিহ্নিত করতেই জাভেদ এই এলাকায় এসেছিল। লস্কর-ই-তৈবার প্রধান ডেরা হিসেবে পরিচিত মুদরিকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের মূলকেন্দ্র। জাভেদের এই ডেরায় যাতায়াত প্রমাণ করে, সে শুধুমাত্র এক সাধারণ সদস্য নয় বরং লস্করের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায় জড়িত।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের একটি বেস তৈরি করাই ছিল তলহা সইদের পরিকল্পনা। বিশেষ করে, বাংলাদেশি জঙ্গিদের দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার ছক কষা হচ্ছিল। জাভেদ আহমেদ মুন্সির গ্রেফতার পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনার পর গোয়েন্দারা বাংলাদেশ সীমান্ত ও পশ্চিমবঙ্গের সম্ভাব্য জঙ্গি করিডরগুলোতে নজরদারি আরও জোরদার করার সুপারিশ করেছেন।