যুদ্ধবিরতির পথে হামাস ও ইসরায়েল: গাজায় মৃত্যুমিছিল কি এবার থামবে?

আজ এখন ডেস্ক, 20 ডিসেম্বর : হাজার হাজার মৃত্যুর পর এবার কি থামতে চলেছে গাজা যুদ্ধ? গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত অবশেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং সাধারণ মানুষের অমানবিক দুর্ভোগের পর, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। গাজার বেসামরিক জনগণ এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অনেক শিশু এবং নারীও রয়েছেন। বোমা হামলা এবং অবরোধের কারণে খাদ্য, জল এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য শর্ত নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করছে। এতে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মিশর ও কাতার এই সংঘাত বন্ধের জন্য সবচেয়ে বেশি তৎপর। তারা উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য রাজি করাতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে, বিশেষত বেসামরিক জনগণের মানবিক দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে।

গাজায় বোমা হামলার শব্দে প্রতিদিনের জীবনযাপন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় দিন গুনছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ‘এই যুদ্ধবিরতি কি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ খুলে দেবে, নাকি এটি সাময়িক একটি বিরতি মাত্র?’ যদিও যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে, তবে বাস্তবে এটি কার্যকর হতে সময় লাগবে। দুই পক্ষের মধ্যে গভীর অবিশ্বাস এবং দীর্ঘদিনের শত্রুতার কারণে যুদ্ধবিরতি টেকসই হবে কি না, সেটি এখনও অনিশ্চিত। তবে গাজার অসহায় জনগণ এবং বিশ্ববাসীর একটাই আশা—’মৃত্যুমিছিল থামুক এবং শান্তি ফিরে আসুক।’