আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 16 জানুয়ারি: শিলিগুড়ির উত্তর সমরনগরে এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভাড়াবাড়ি থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের শিশুসন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঋণের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রি শ্যামল রায় তাঁর স্ত্রী টুম্পা ও চার-পাঁচ বছরের সন্তান পিন্টুকে নিয়ে উত্তর সমরনগরের একটি বাড়িতে সাত-আট মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। টুম্পা একটি দোকানে চপ ভাজতেন। এলাকায় তাঁদের সজ্জন পরিবার হিসেবেই পরিচিতি ছিল। এদিন সকালে টুম্পার বাবা কালীপদ রায় মেয়ের ফোন না পেয়ে চিন্তিত হয়ে তাঁদের বাড়িতে যান। বারবার দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরও কোনও সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন, শ্যামল রায়ের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্ত্রী টুম্পা ও শিশু পিন্টুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, শ্যামল প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর একইভাবে সন্তানের প্রাণ কেড়ে নিজের জীবন শেষ করেন। জানা গিয়েছে, চপের দোকানের ব্যবসা বড় করার জন্য শ্যামল প্রায় ২-২.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি। টুম্পার বাবা কালীপদ রায় জানিয়েছেন, “বিয়ের সাত বছর ধরে মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে কোনও বড় অশান্তি ছিল না। তবে কিছুদিন ধরে জামাই খুবই চিন্তিত ছিল। ঋণ শোধ করতে না পেরে এই পথ বেছে নিল সে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিবারটি শান্তিপ্রিয় ছিল। তাঁদের আচরণে কখনও কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। তবে শ্যামলের ঋণ ও মানসিক চাপের বিষয়টি এলাকায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল।