এক নাবালিকার নির্যাতনের মামলায় হাইকোর্টের মন্তব্য! কি বললো আদালত?

আজ এখন,দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ মার্চ: পাজামার দড়ি খুলে ফেলা কিংবা স্তন খামচে ধরা, কোনটাই ধর্ষণের চেষ্টা নয়, বরং যৌন নির্যাতন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে ১১ বছরের নাবালিককে নির্যাতন মামলায় এমন একটি মন্তব্য করলেন। সাধারণতই হাইকোর্টের এমন মন্তব্য শুনে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবং প্রশ্ন করা হচ্ছে তাহলে ধর্ষণের আসল সংজ্ঞা টা কি?

আদালত জানিয়েছে, আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে এই ঘটনাটি। পবন এবং আকাশ নামে দুই অভিযুক্ত ছিল, তারা ওই নাবালিকাকে ভুলিয়ে রাস্তায় কালভার্টের কাছে টানতে টানতে নিয়ে যায়। এবং তার স্তন খামচে ধরে এবং পাজামার দড়ি খুলে ফেলে। তারপরই ওই ১১ বছরের নাবালিকাটি জোরে চিৎকার করায় স্থানীয়রা ছুটে আসে। তখনই ছুটে পালিয়ে যায় পবন ও আকাশ।

কাসগঞ্জ নিম্ন আদালতের নির্দেশে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পকসো ধারায় মামলা হয়েছিল। যদিও এলাহাবাদ হাই কোর্ট তা বাতিল করেছে। বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চের নির্দেশে ৩৫৪-বি ধারায় পোশাক খুলে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ এবং ৯/১০ পকসো ধারায় তীব্র যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পবন ও আকাশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং মামলার নথিপত্রের মধ্যে মিল নেই। এটিকে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধ বলা যায় না। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনার জন্য মামলাকারী আইনজীবীকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে এটি প্রস্তুতির পর্যায়ের বাইরে চলে গিয়েছে। অপরাধের প্রস্তুতি আর অপরাধের প্রচেষ্টার মধ্যে বড়সড় পার্থক্য রয়েছে বলেও মত বিচারপতির।