আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২১ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে এখন কি অবস্থা চলছে তা আমরা সবাই জানি। তারপরে হিন্দুদের উপর অত্যাচারও চলছে জোর কদমে।ফের বাংলাদেশে হামলা হিন্দু উপাসনাস্থলে। সেখানে প্রায় দুই দিনের দিনাজপুর,ময়মনসিংহ জেলার অন্তত ৩টি মন্দিরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আর প্রায় আটটি মন্দির ভাঙ্গা হয়। অনেক মন্দিরের সঙ্গে কালী মন্দিরেও ভাঙচুর করা। ফলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি ‘নতুন’ বাংলাদেশ? যেখানে যতদিন যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিংসার হাত রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয়স্থানও।
খবর সূত্রে জানা গেছে,গত ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় শাকুয়াই এলাকার বন্দেরপাড়া মন্দিরের দুষ্কৃতীরা ২টি মূর্তি ভাঙচুর করে। এবং বিলডোরা এলাকায় যে কালী মন্দির আছে সেখানেও হামলা চালানো হয়। এমন ঘটনার আকস্মিকতায় ওই মন্দিরের প্রধান সুভাষচন্দ্র সরকার থানায় অভিযোগ করেন। তারপর থেকেই হামলাকারীদের তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এনিয়ে গতকাল হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খয়ের জানান, মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের ঘনিষ্ঠ মাহফুজ আলম ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ভারতের একাধিক রাজ্যকেও নিজেদের অধীনে নিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। এই উসকানিমূলক মন্তব্য কোনওভাবেই যে ভারত বরদাস্ত করবে না, তা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করে দেন। বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “বিতর্কিত পোস্টটি ইতিমধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে বলছি, ভারত বিরোধী মন্তব্য করা থেকে নিজেদের জনগণকে সতর্ক করুক অন্তর্বর্তী সরকার। ভারত বারবার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এধরনের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। সেক্ষেত্রে সকলের দায়িত্ববোধ থাকা প্রয়োজন। ভাষা নিয়ে আরও সংযত হোন।” গতকালই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং জানান, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ২২০০টি ঘটনা ঘটেছে।