আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২১ ডিসেম্বর: স্বামী ও শশুর প্রায় নিত্যদিন অত্যাচার করত গৃহবধূকে। মহিলাকে মারধর করে তার গোপনঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গেছে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ওই মহিলা তার শ্বশুরবাড়িতে প্রতিদিনই অত্যাচারিত হতো। সেদিন ১৩ ই ডিসেম্বর মহিলার উপর তাঁর স্বামী, ননদ, শ্বশুর এবং শাশুড়ি মিলে প্রায় দুঘণ্টা ধরে অত্যাচার চালান। ওই গৃহবধূকে নগ্ন করে অত্যন্ত খারাপ ভাবে মারধর করা হয়। লাগাতার তাকে কিল-চড়, লাথি-ঘুষি দিতে থাকে। তারপরে গরম রড দিয়ে তাঁর গোপন অঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এইখানেই থেমে নেই তারা, গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো দেওয়ার হয় এমনটাই অভিযোগও উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার স্বামী এবং শশুর থাকে পরের দিন বাইকে চাপিয়ে একটি নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়ে আসে। এবং সেই জায়গা থেকে ওই মহিলা কোনক্রমে তার বাপের বাড়ি গিয়ে পৌঁছন।পরিবারের কাছে পুরো বিষয়টি জানালে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাড়ির লোকেরা।
কিন্তু কোন কারণে এমন বীভৎস নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা? পুলিশ জানিয়েছে, রোহিত রুহেলা নামের এক ব্যক্তি মহিলার শ্বশুরবাড়িতে ইস্ত্রি চাইতে এসেছিলেন। রোহিতকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলে ভিতরে যান মহিলা। কিন্তু চারদিক ফাঁকা দেখে মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন রোহিত। ঠিক তখনই ননদ গোটা ঘটনা দেখে ফেলায় সেখান থেকে চম্পট দেন রোহিত। মহিলার অভিযোগ, এই ঘটনার জন্য তাঁকেই দায়ী করে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। যাতে তিনি জ্ঞান হারান। এমনকী পরের দিন সকালেও তাঁকে মারধর করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শরীরের একাধিক অংশ। ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১৫(২), ৭৪, ৬৪ এবং ৩(৫) ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।