অবসাদ মুখর তরুণ প্রজন্ম কী ভাবে বেরিয়ে আসবেন অবসাদ থেকে?

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, 18 ফেব্রুয়ারি: ডিপ্রেশনে বা মানসিক অবসাদ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত এবং অবহেলিত একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান যুগে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থা দীর্ঘ সময় উপেক্ষা করলে তা গুরুতর সমস্যায় রূপ নিতে পারে। শারীরিক অসুস্থতার মতোই মানসিক অসুস্থতাও তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা প্রয়োজন।

কেন তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে তরুণদের জীবনে অবসাদ আরও প্রকট হয়েছে। লকডাউন ও ঘরবন্দি জীবনের কারণে সামাজিক মেলামেশা কমে গিয়েছে। দীর্ঘ স্ক্রিনটাইম, মোবাইল ও প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তরুণ প্রজন্মকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। এই একঘেয়ে জীবন ও আসক্তি মানসিক চাপ এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনার জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে টিনএজারদের মধ্যে এগুলি বেশি দেখা যায়, যা কখনো কখনো জীবনহানিকরও হয়ে উঠতে পারে।

অবসাদের প্রধান লক্ষণ

1) ঘুম না আসা বা ঘুমের অভাব

2) কোনো কিছুতে আগ্রহ না থাকা

3) সুন্দর কাজ করতেও ভালো না লাগা

4) সবকিছুতে নেতিবাচক চিন্তা

5) আত্মবিশ্বাসের অভাব

অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবসাদ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর জন্য কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:

  1. কারণ খুঁজে বের করুন: প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন, কী কারণে অবসাদগ্রস্ত বোধ করছেন।
  2. পছন্দের কাজে মন দিন: ফাঁকা সময়ে পছন্দের কাজ করুন, যেমন বই পড়া, গান শোনা বা ছবি আঁকা।
  3. মানুষের সাথে সময় কাটান: কাছের মানুষের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন, সময় কাটান।
  4. প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন: ঘরের বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  5. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: প্রয়োজন হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং চিকিৎসা নিন।

মানসিক অবসাদ হলো একটি বাস্তব সমস্যা, যা উপেক্ষা করলে জীবনের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। তরুণ প্রজন্মের উচিত তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা এবং মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দেওয়া। সময় মতো সচেতন পদক্ষেপ নিলে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি সম্ভব।