বঙ্গে মাছ চাষে বিপুল বিনিয়োগ! বাণিজ্যিক সম্মেলন থেকে দেওয়া হয় ১২৬ কোটি

আজ এখন নিউজ ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৭ ফেব্রুয়ারি: পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যক্ষেত্রে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্যিক সম্মেলনের প্রথম দিন একটি সুখবর শোনা গেল। ওই বাণিজ্যিক সম্মেলন থেকে মোট ১২৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে। নোনা জল, মিষ্টি জল মিষ্টি জলের পাশাপাশি সামুদ্রিক ক্ষেত্রে এই প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরে বিপুল টাকার পরিমান একসঙ্গে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এই খবর শুনে মৎস্য চাষিরা অত্যন্ত খুশি। আরও বেশি পরিমাণ মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

১৫৮ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূল এলাকা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশে বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে রয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার লম্বা উপকূল ভাগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। হলদি, হুগলি, রসুলপুর নদী মোহনা-সহ সাগরপাড়ে মৎস্যজীবীদের বসবাস। সেগুলিকে বাদ দিলেও রামনগর, কাঁথি, খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, সুতাহাটা, মহিষাদল এবং অন্য বেশ কিছু জায়গায় কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী বসবাস করেন। এর পাশাপাশি বহু মানুষ কৃষিজমিতে চাষ-আবাদের মাছের ভেড়ি গড়েছেন। অনেকে আছে যারা সমুদ্র এবং নদীতে মাছ ধরেন। এই বিকল্প পেশায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বছরভর জেলার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ যুক্ত আছেন। মিষ্টি জল, নোনা জল এবং সামুদ্রিক – সব মিলিয়ে বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪,৩০,০০০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।

এভাবে অ্যাকোয়া কালচারে ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করছেন নরঘাটের কল্যাণ জানা, ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করছেন নাচিন্দার সত্যজিৎ মাইতি, দিঘার মৈত্রপুরের ভাস্কর রাওয়ের লগ্নির পরিমাণ ৮ কোটি টাকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য আধিকারিক সৌরেন্দ্রনাথ জানার কথায়, “সামুদ্রিক বিভাগের পাশাপাশি মিষ্টি জল এবং নোনাজল মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১২৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ হয়েছে।” এবার কলকাতায় বিজিবিএস থেকেই সেই বিনিয়োগ করছেন উদ্যোগপতিরা।