মালদহে নিষিদ্ধ মাদকের বিশাল চালান আটক, তদন্তে জড়াল চোরাচালানের চক্র

আজ এখন ডেস্ক, 8 জানুয়ারি: মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকায় পুলিশের সফল অভিযানে আটক করা হলো প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক। ১৫ মাইল এলাকায় একটি ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ হাজার বোতল এসকফ কাশির সিরাপ ও ৪২৫ বোতল ফেনিসিডিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ত্রিপুরার ধর্মনগরের অপু দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানার যৌথ অভিযানে এই বিপুল মাদক উদ্ধার হয়। ট্রাকটি চিনাবাদামের বস্তা, ডলোমাইট পাথরের বস্তা, এবং প্লাস্টিকের জার ও ব্যারেলের আড়ালে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি কলকাতা থেকে ত্রিপুরার আগরতলায় মাদক পরিবহনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা, যা কালোবাজারে দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এত বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক ঠিক কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড় চোরাচালান চক্রের যোগাযোগ রয়েছে কি না, তাও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই মাদকের চালান সীমান্ত দিয়ে ওপার বাংলায় পাচারের কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, তা নিয়েও সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর মাদক চোরাচালান বরাবরই উদ্বেগের বিষয়, যা এই ঘটনার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মাদকের পরিবহণ কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ছিল। ট্রাকটিতে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে কভার হিসেবে রাখা হয়েছিল বৈধ পণ্য। তদন্তে আরও তথ্য উঠে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এই ঘটনার মাধ্যমে মাদক চোরাচালানের বিরোধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।